ক্ষতিপূরণের দাবীতে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ : অবরুদ্ধ জিটি রোড

5th January 2021 9:56 pm হুগলী
ক্ষতিপূরণের দাবীতে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ : অবরুদ্ধ জিটি রোড


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : মৃতদেহ জিটি রোডে রেখে অবরোধ বিজেপির,অবরোধ তুলতে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। গতকাল সকালে দোকান খোলার সময়  হৃদ রোগে আক্রান্ত হন অশোক কুমার দাস(৫৩) নামে এক মুচি।আজ শ্রীরামপুর ওয়ালস্ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের জানিয়েছে শেওড়াফুলি উদয়ন সিনেমা হলের সামনে গত ৪০ বছর ধরে জুতো সেলাই এর দোকান ছিল তার।তবে কয়েক বছর ধরে সেই জায়গায় পিছনে ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছে। অভিযোগ সেই ফ্ল্যাট তৈরির জন্য তার দোকান ভেঙে দেয় প্রোমোটার। তারপর সেখানে অশোক কুমার দাস একটি ছাতা খাটিয়ে নিজের জীবিকা চালানোর চেষ্টা করেন। তবে তারপর থেকেই ক্রমাগত তাকে তুলে দেবার হুমকি দিতে থাকে প্রোমোটার বলে অভিযোগ । তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।এরপর গতকাল তিনি দোকান খোলার  সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে ভর্তি করা হয় শ্রীরামপুর ওয়ালস্ হাসপাতালে।মৃতদেহ নিয়ে এসে সন্ধায় জিটি রোড অবরোধ করে বিজেপি শেওড়াফুলি মন্ডলের নেতা কর্মীরা । তাদের দাবী এই মৃত্যুর পিছনে প্রোমোটার রাজের হাত রয়েছে। তাদের দাবী ওই প্রোমোটার কে সঠিক ক্ষতিপূরণ ও ন্যায় বিচার দিতে হবে। এই ঘটনার অভিযোগ দায়েরও করা হয় শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে।অবরোধের জেরে যানজট সৃষ্টি হয় জিটি রোডে। প্রায় ঘন্টা খানেক আবরোধের পর পুলিশ এসে অবরোধকারীদের হঠাতে গেলে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়।চ্যাঙদোলা করে বিজেপি সমর্থকদের হঠায় পুলিশ। অন্য দিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই প্রোমোটার জানান এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।  তিনি বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শ্রীরামপুর থানার এক আধিকারিক জানান দীর্ঘ দিন ধরে ওখানে জীবিকা নির্বাহ করতো। কারো জীবিকা মেরে কোন কিছু করা যাবে না। একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত  করে মৃতদেত  পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।